Khoborerchokh logo

ধর্ষন যার নেশা,আবারও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ১ নং লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান,গাইবান্ধা 763 0

Khoborerchokh logo

ছবি,

মোছাদ্দিকুর রহমান মুছা
গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ১নং লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল ও একই ইউনিয়নের মৌজা মালীবাড়ী গ্রামের।পাশাপাশি তিনি লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ।স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকার পরেও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি ।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,বিস্তর অভিযোগের পাহাড় জমেছে তার বিরোদ্ধে । স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান,আমাদের চেয়ারম্যান বাদল সাহেব সর্বদাই নেশখোরদের নিয়ে চলাফেরা করেন । স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসেবে  তার সঙ্গে ১০-১২ জন মাস্তান,উশৃঙ্খল ক্যাটাগরির লোকজন বডিগার্ড  হিসেবে মটর সাইকেল বহর থাকে । কয়েকজন ভুক্তভোগী ও ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জনাব মো: মোস্তফা মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান ,এলাকার বহু মানুষ তার কার্যকলাপে অসন্তুষ্ঠ।সম্প্রতি ধর্ষনের ঘটনার বরাত দিয়ে মোস্তফা মিয়া জানান, এহেন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে,যেটা ধরা পড়ে সেটা প্রকাশ পায় আর যেটা ধরা পড়ে না সেটা অধরা রয়ে যায় ।এই ঘটনায় গত দু-সপ্তাহ আগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতার সহযোগীতায় ২লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয়েছিল কিন্তু কথা না রাখায় শেষ রক্ষা হয়নি ।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়,ধর্ষণের ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে গত আট মাস থেকে এক নারীকে ধর্ষণ করে আসার অভিযোগে সদর থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামলা হয়।এরপর রাতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লেংগাবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালে তার স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেই মামলায় কয়েক মাস কারাভোগ শেষে অন্তবর্তীকালীন জামিন পান তিনি।ওসি মাহফুজুর জানান, ধর্ষণের শিকার এ নারী গত ৩ মার্চ ন্যাশনাল সার্ভিসের জন্য একটি প্রত্যয়নপত্র আনতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান। এ সময় তাকে চেয়ারম্যান বাদল তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করে রাখেন।এ ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে গত ৮ মাস ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল। তিনি আরও জানান, গত ১১ নভেম্বর ওই নারীর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে চেয়ারম্যান বাদল তার বাড়িতে যান এবং তাকে ধর্ষণ করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেলে চেয়ারম্যান বাদল সেখান থেকে সটকে পড়েন।গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান জানান, ২০১৭ সালের ৩ জুন লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। উল্লেখ্য স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান ।


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com